৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুল, ত্বক ও চোখের যত্নে ভিটামিন-ই

জীবনধারা ডেস্ক :
চুল, ত্বক এবং চোখের যত্ন নিতেই হবে। আর এর মূল উপাদান হলো ভিটামিন-ই। ত্বক, চুল এবং চোখের যত্নে ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে পারেন। যারা অনেক ব্যস্ত তাদের জন্য সহজ হলো ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ব্যবহার।
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ভিটামি-ই সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে এই ভিটামিন পেতে চাইলে রয়েছে অসংখ্য খাবার যেমন সয়া, অলিভ অয়েল, ভুট্টা ইত্যাদি।এছাড়া ই-ক্যাপসুল ব্যবহারও করতে পারেন। চিকিৎসকরা মনে করেন,ত্বক, চুল এবং চোখে জন্য যত ভিটামিন ব্যবহার করা হয়, তারমধ্যে অন্যকম হলো ভিটামিন-ই। এই ক্যাপসুল চোখের উন্নতি, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, চুলের ঘনত্ব বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন-ই সম্পর্কে জানি
ভিটামিন-ই আলফা-টোকোফেরল নামে পরিচিত। এটি দ্রবণীয় ভিটামিন। এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধে এবং শরীরের কোষগুলিকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে বলিরেখা ফুটে ওঠার হাত থেকে সুরক্ষা দেয়। এই ভিটামিন-ই সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অকাল বার্ধক্য থামিয়ে দেয়। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সক্ষম।
চুলের উন্নতির জন্য এই ভিটামিনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপকারী। যেমন— চুল পড়া রোধ করে, খুসকির হাত থেকে রক্ষা করে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্ষতিগ্রস্থ চুল দ্রুত মেরামত করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সারা শরীরে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত মজবুত করে। শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের ফলিকল পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে মসৃণ চুল তৈরি করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া বাজারে অনেক ভিটামিন-ই যুক্ত তেল রয়েছে। সেগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে, ভিটামিন–ই ক্যাপসুল সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে। তাই সতর্কতার প্রয়োজন। ময়েশ্চারাইজার ও নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন–ই মিশ্রিত করুন। সেটি ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করুন। কোনও অসুবিধা হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *