১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
PTI

ভারতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পাশে একসাথে পিটিআই

সমাজকাল ডেস্ক :

(পহেলগাঁও হামলা নিয়ে অপপ্রচারে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত)
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পহেলগাঁও হামলার পর দেশটি যে ভিত্তিহীন দোষারোপ শুরু করেছে, তা মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর করা এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের অনুসারীদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ।

সূত্র অনুযায়ী, ভারতের এই প্রচারণা ছিল জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরানোর এক হীন প্রচেষ্টা। তবে পাকিস্তানের জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে, যা ভারতের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করেছে।

পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পাশে আমরা দৃঢ়ভাবে আছি, কোনো শর্ত ছাড়া। দেশ জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, “ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করা একটি যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। তাই সর্বদলীয় সম্মেলন (APC) আহ্বান করা জরুরি ছিল। শুধুমাত্র সরকারি ব্রিফিং বয়কট করাই ছিল পিটিআইয়ের অবস্থান।”

ভারতের একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে তীব্র অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ভারত টুডে একটি নিবন্ধে সেনাপ্রধানকে নিয়ে একাধিক ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে, যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংকটকে উসকে দেওয়ার চক্রান্তের অংশ বলেই দাবি করেছেন কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ইমরান খানের কারাবন্দি অবস্থায় তার প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ ভারতের পক্ষ থেকে তোলা হলেও পিটিআই এটিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভারতীয় ষড়যন্ত্র’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। গোহর আলী খান বলেন, “এটি জনগণকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা, কিন্তু আমরা একসঙ্গে থাকব।”

সিনেটে পিটিআইসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হয়েছে, যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক বিবৃতিতে বলেন, “পুলওয়ামা হামলার সময়ও আমরা সহযোগিতা চেয়েছিলাম, কোনো প্রমাণ দেয়নি ভারত। আজ ফের একই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শান্তির পক্ষে আমরা, তবে দুর্বল নই। প্রয়োজনে ২০১৯-এর মতো আবারও জবাব দিতে প্রস্তুত।”

তার বক্তব্যের পর ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ইমরান খানের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টসহ কয়েকটি সমমত পোষণকারীর অ্যাকাউন্ট ভারত সরকার ব্লক করে দিয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn