সমাজকাল ডেস্ক:
আজ বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর। যে খ্যাতিমানদের হারিয়েছি এই দিনে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
৪ সেপ্টেম্বর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৪৭তম (অধিবর্ষে ২৪৮তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১১৮ দিন বাকি।
এভাবে দিন আসে দিন যায়। অতীত কালের সময় বাড়ে। কোন না কোনভাবে প্রতিটি দিন হয় ইতিহাস। প্রতিদিন জন্ম নেয় অসংখ্য মানুষ। এরমধ্যে কেউ কেউ ইতিহাসের অংশ হন। খ্যাতিমানদের কেউ কেউ আবার চলে যান গড়ে। রয়ে যায় তাদের কর্ম।
বিখ্যাত ব্যক্তিরা আজকের এবং আগামীর জন্য অনুপ্রেরণা। তাই তাদের সম্পর্কে জানা আজকের প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।
প্রজন্মের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে সমাজকালের পাঠকদের জন্য প্রতিদিনের আয়োজন সেই সব আলোকিত ব্যক্তিদের স্মরণে, এই দিনে যাদের হারিয়েছি।
৭৯৯: শিয়া ইমাম মুসা আল কাজিম
১০৬৩: পারস্য ও বাগদাদ বিজয়ী তঘরুল
১৭৬৭: ইংরেজ রাজনীতিক চার্লস টাউনশিপ।
১৯৫৭: অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
১৯৬৪: লোকনাথ বল, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী।
একজন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী এবং সূর্য সেনের সশস্ত্র বিপ্লবী সদস্য, যিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি কলকাতা পৌরসংস্থায় প্রসাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন এবং আমৃত্যু সেখানে ছিলেন।
১৯৬৫: জার্মান দার্শনিক আলবার্ট সুইৎসার।
১৯৭৮: মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ, সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৮৯: জর্জেস সিমেনন, ফ্রান্সের লেখক।
২০০৩: জগন্ময় মিত্র, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
জগন্ময় মিত্র ছিলেন বাংলা কাব্য সঙ্গীতের শিল্পী। বাংলা আধুনিক ও নজরুলগীতির পাশাপাশি ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুংরি, টপ্পাসহ সঙ্গীতের প্রায় সব প্রচলিত ধারায় তার ছিল স্বচ্ছন্দ পদচারণা।
অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের শিল্পী ছিলেন তিনি, তবে ১৯৪৮ সালে রেকর্ড করা ‘চিঠি – তুমি আজ কত দূরে’ গানটি তাকে অমরত্ব এনে দেয়। লক্ষ কোটি শ্রোতা, রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন হয়ে গানটিকে যেন নিজেরই প্রেমপত্র হিসেবে গ্রহণ করে নেন।
ফলে বাংলা আধুনিক কাব্য সঙ্গীতের ইতিহাসে এটিই সর্বাধিক শ্রুত ও বিক্রীত একক সঙ্গীত হিসেবে অদ্যাবধি পরিগণিত (এইচ এম ভি’র হিসাবে, ৭৮ আরপিএম রেকর্ড থেকে ক্যাসেট যুগ পর্যন্ত গানটির ২৫ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে)।
২০০৪: বীরেশ্বর সরকার, বাঙালি গীতিকার, সুরকার ও প্রযোজক।
২০০৬: স্টিভ আরউইন, অস্ট্রেলীয় প্রকৃতিবাদী ও টিভি ব্যক্তিত্ব।
২০১১: অজিত রায়, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক।
পিতা মুকুন্দ সরকার মাতা কনিকা রায় ছিলেন বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক। তিনি প্রথীতযশা কন্ঠশিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভুবনে অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চার দশকেরও অধিক সময় ধরে তার দৃপ্ত পদচারণায় মুখরিত ছিল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল।
২০১২: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক।
২০২২: গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, সুরকার, ও গীতিকার।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইতিহাস সম্পর্কিত বই