২২ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩ সেপ্টেম্বর, যে খ্যাতিমানদের হারিয়েছি এই দিনে

সমাজকাল ডেস্ক:

আজ মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর। যে খ্যাতিমানদের হারিয়েছি এই দিনে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

৩ সেপ্টেম্বর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৪৬তম (অধিবর্ষে ২৪৭তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১১৯ দিন বাকি।

এভাবে দিন আসে দিন যায়। অতীত কালের সময় বাড়ে। কোন না কোনভাবে প্রতিটি দিন হয় ইতিহাস। প্রতিদিন জন্ম নেয় অসংখ্য মানুষ। এরমধ্যে কেউ কেউ ইতিহাসের অংশ হন। খ্যাতিমানদের কেউ কেউ আবার চলে যান গড়ে। রয়ে যায় তাদের কর্ম।

বিখ্যাত ব্যক্তিরা আজকের এবং আগামীর জন্য অনুপ্রেরণা। তাই তাদের সম্পর্কে জানা আজকের প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।

প্রজন্মের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে সমাজকালের পাঠকদের জন্য প্রতিদিনের আয়োজন সেই সব আলোকিত ব্যক্তিদের স্মরণে, এই দিনে যাদের হারিয়েছি।

 

১৮৮৩: রাশিয়ার লেখক ইভান তুর্গেনেভ।

১৯৩৩: মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। তিনি গোপন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের সদস্য ছিলেন। পেডি ও ডগলাস নিহত হবার পর বার্জ নামে এক ইংরেজ মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে আসেন।

১৯৩৩ সালে ২ সেপ্টেম্বর মৃগেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গী অনাথবন্ধু কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ নিহত হয়। কিন্তু পুলিসের গুলিতে অনাথবন্ধু ঘটনাস্থলেই এবং তিনি পরদিন হাসপাতালে মারা যান।

১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন মৃগেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গী অনাথবন্ধু পাঁজা।

মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিশ প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।

১৯৬২: মার্কিন কবি ই ই কামিংস।

১৯৬৩: আইরিশ কবি ও নাট্যকার ফ্রেডেরিখ ম্যাকনিস।

১৯৬৯: ভিয়েতনামের বিপ্লবী জননেতা হো-চি-মিন।

১৯৯৮: অনুপ কুমার, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

২০০৭: অশেষ প্রসাদ মিত্র,ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।

২০০৮: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশী কবি, সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী।

২০১৮: রমা চৌধুরী, বাংলাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরাঙ্গনা।

২০২৩: হিথ স্ট্রিক, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইতিহাস সম্পর্কিত বই