২১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের পুঁজিবাজারে ধস: ভোট গোনার দিনেই ৪৫ লাখ কোটি রুপি হারালেন বিনিয়োগকারীরা

সমাজকাল ডেস্ক

অষ্টদশ লোকসভা নির্বাচনের চড়ান্ত ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হাহাকার ভারতের পুঁজিবাজারে। বিরাট ধস নেমেছে নিফটি ও সেনসেক্স সূচকে। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম এক ধাক্কায় ২০০০ পয়েন্ট নেমে গেছে নিফটি। অন্যদিকে সেনসেক্স নেমেছে ৬০০০ পয়েন্ট। এই ধসে বাজারটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন এক দিনেই ৪৫ লাখ কোটি রুপি।

অবশ্য এর এক দিন আগে বুথফেরত জরিপ সামনে আসার পর হু হু করে বাড়ছিল সূচক। সোমবার (৩ জুন) সেনসেক্স ২৫০৭ পয়েন্ট বেড়েছিল। নিফটিও এদিন সবচেয়ে রেকর্ড উচ্চতা স্পর্শ করেছিল। ৭৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছিল সেদিন। ওই দিন বিনিয়োগকারীরা ঘরে তোলেন ১৪ লাখ কোটি রুপির শেয়ার সম্পদ।

তবে আজ মঙ্গলবার বিজেপি ঘনিষ্ঠ কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের পতনই হয়েছে বেশি। অন্যদিকে ডাবর, ম্যারিকো, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, হিরো মোটোকর্প -এর মতো কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। আনন্দবাজার বলছে, মঙ্গলবার দিনের লেনদেন শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ২০ লাখ কোটি রুপি।

গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সপ্তম বা শেষ দফার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে ১ জুন। এর তিন দিন পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। তবে ভোট গণনায় ক্ষমতাসীন বিজেপি জোট এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে এগিয়ে থাকলেও তারা নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে-এমন কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি সন্ধ্যা পর্যন্ত । এসব বিষয় মঙ্গলবার দিনের শুরুতে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধসের পেছনে প্রভাব রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, বুথফেরত জরিপের প্রভাবেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল সেনসেক্স ও নিফটি। তবে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সোমবারের ব্যাপক উত্থানের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে শেয়ারবাজার। বুথফেরত জরিপের সঙ্গে ভোট গণনার ফল না মিললে পতন হবে। কমল পারেখের সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে কি না, মঙ্গলবার এমন প্রশ্নও উঠেছে।

সব জরিপেই বিজেপি ও এনডিএ ৩৫৯ থেকে ৩৯৫ আসন, আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ১২৫ থেকে ১৬১ আসন পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট গণনা শুরুর পর দেখা যাচ্ছে, বুথফেরত জরিপে যে আভাস দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে কংগ্রেস জোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *