৫ মাস পর ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের। দেশটি পুনরায় চালু করেছে ওমরাহ ও ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা। প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষের জন্য এটি একটি সুখবর।
সমাজকাল ডেস্ক:
হজ মৌসুমে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা সৌদি আরবের সব ধরনের ভিসা কার্যক্রম আবারও চালু হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা প্রবাসী পরিবার এবং ওমরাহ যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরেছে। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে।
বিশেষ করে বহুল প্রতীক্ষিত দীর্ঘমেয়াদী ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা এবং ওমরাহ ভিসা চালু হওয়ায় উপকৃত হবেন হাজার হাজার বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত প্রবাসীরা। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে অনুমোদিত ওমরাহ এজেন্সিগুলো নতুন করে ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে।
হজ মৌসুম ঘিরে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনাগত কারণে প্রতি বছরই সৌদি সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিভিন্ন ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রাখে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ১০ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। এর ফলে প্রবাসী পরিবারে যেমন দেখা দেয় অস্থিরতা, তেমনি ভ্রমণেচ্ছু ওমরাহ যাত্রীরা পড়েন অনিশ্চয়তার মধ্যে।
সৌদি সরকারের ব্যাখ্যা:
সৌদি স্বরাষ্ট্র ও হজ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হজের প্রস্তুতি ও নির্বিঘ্ন ব্যবস্থাপনার জন্যই এই ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। হজ শেষে অবিলম্বে সকল ভিসা পুনরায় চালু করার কথা জানিয়ে তারা বলেন, “বিশ্বের মুসলিম এবং প্রবাসীদের স্বার্থে সৌদি সরকার সবসময় উদার নীতি অনুসরণ করে।”
অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব:
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওমরাহ ও ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা পুনরায় চালু হওয়ায় সৌদি আরবের পর্যটন শিল্প, হোটেল ব্যবসা, এবং আভ্যন্তরীণ সেবাখাত ফের চাঙ্গা হবে। একইসঙ্গে বিমান পরিবহন, পরিবহন খাত এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও আর্থিক গতি ফেরার আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক লক্ষ মানুষ সৌদি আরবে যান ওমরাহ এবং পরিবার পরিদর্শনে। ভিসা চালুর এই সিদ্ধান্তে তারা এখন আবার ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে ঢাকার সৌদি দূতাবাস থেকেও শিগগিরই ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সৌদি আরব প্রতিবছর হজ মৌসুমে কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিসা বন্ধ রাখে যেন হজ ব্যবস্থাপনা সহজ ও নিরাপদ থাকে। হজ শেষে ওমরাহ এবং অন্যান্য ভিসা আবার চালু করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবারের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।