২৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
স্টারলিংক

স্টারলিংক অনুমোদন : ইন্টারনেট যুগে নতুন সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর জন্য লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্টারলিংকের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লাইসেন্সের সুপারিশ করে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা চালু করতে পারবে।

এ বছরের ৭ এপ্রিল স্টারলিংক বিটিআরসিতে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (NGSO) স্যাটেলাইট সেবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। কমিশন একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে আবেদনটি পর্যালোচনা করে এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইতিবাচক সুপারিশ পাঠায়। বিটিআরসি’র সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এ লাইসেন্স অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়।

সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংকের সেবা চালু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরুর জন্য ৯০ দিনের সময়সীমার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংকের মাধ্যমে গ্রামীণ ও অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকাগুলো উচ্চগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বড় অগ্রগতি।

বর্তমানে স্টারলিংককে আনুষ্ঠানিকভাবে সেবা চালুর আগে লাইসেন্স ফি পরিশোধ এবং নির্ধারিত সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দ্রুতই বাংলাদেশের মানুষ স্টারলিংকের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

উল্লেখযোগ্য দিক:
স্টারলিংক হবে দেশের প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। দুর্গম অঞ্চলে দ্রুতগতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ইন্টারনেট সেবায় নতুন প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্য আসবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় স্টারলিংকের প্রবেশ তাই নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।