২ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
KURIGRAM
ফাইল ছবি

সীমান্তে পুশ ইন ব্যর্থ : লালমনিরহাট সীমান্তে ৫৭ ভারতীয় নাগরিককে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি ও এলাকাবাসীর বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সীমান্তে পুশ ইন ব্যর্থ : লালমনিরহাট সীমান্তে ৫৭ ভারতীয় নাগরিককে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি ও এলাকাবাসীর বাধা, ভারতের আসাম রাজ্য থেকে ৫৭ জন নাগরিককে লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিএসএফ। তবে বিজিবি ও স্থানীয় জনতার দৃঢ় প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় এই পুশ ইন। বর্তমানে ওই ভারতীয় নাগরিকরা সীমান্তের শুন্যরেখায় অবস্থান করছেন।

🔴 কী ঘটেছে?

বুধবার (২৮ মে) ভোররাতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একযোগে ৫৭ জনকে পুশ ইন করার চেষ্টা চালায়। তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

🛑 বিজিবি ও জনতার প্রতিরোধ

ঘটনার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেন এবং দ্রুত এলাকাবাসীও লাঠিসোঁটা হাতে বিজিবির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে পুশ ইন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ভারতীয় নাগরিকদের সীমান্তের শুন্যরেখায় ফেলে রেখে চলে যায় বিএসএফ।

📢 পতাকা বৈঠক ও কড়া প্রতিবাদ

বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হলে বিএসএফ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার সম্মতি জানায়।

বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাব্বির আহম্মেদ বলেন,

“বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে আসামের বাসিন্দাদের বাংলাদেশে পাঠাতে চেয়েছিল। আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং সতর্ক অবস্থানে আছি।”

📍মানবিক দিক ও সতর্কতা

১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন,

“গভীর রাতে এমনভাবে কাউকে ঠেলে দেওয়া অমানবিক। যদি কেউ প্রকৃত বাংলাদেশি হয়, তাকে গ্রহণ করা হবে। তবে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

🗣 শুন্যরেখায় অবস্থানকারীদের বক্তব্য

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, শুন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের ভারতীয় পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে জোর করে সীমান্তে আনা হয়েছে। তারা সবাই আসামে জমি, ঘরবাড়ি রেখে এসেছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn