সমাজকাল ডেস্ক :
প্রখ্যাত আলবেনীয় ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারে আর নেই। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সোমবার (১ জুলাই) আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে বিশ্বনন্দিতি এই লেখকের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

তিরানা-ভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা অনুফ্রি’র সম্পাদক বুজার হুদ্রি জানান, সোমবার সকালে ইসমাইল কাদারেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকৎসকরা সেই সময়ই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ম্যান বুকার পুরস্কারজয়ী ইসমাইল কাদারে ১৯৩৬ সালের ২৮ জানুয়ারি আলবেনিয়ার গিজিরোকাসটারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তিরানা বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কোর গোর্কি ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড লিটারেচারে পড়াশোনা করেছেন। মস্কো থেকে পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরার পর তিনি প্রথমে কর্মজীবন শুরু করেন সাংবাতিক হিসেবে। প্রখ্যাত এই লেখকের নাম নোবেল পুরস্কারের তালিকায় এসেছে অনেকবার।

মৃত যোদ্ধাদের সেনাপতি ইসমাইল কাদারে আলেবেনিয়ার স্বৈরশাসক এনভার হোস্কার একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন। ব্রোকেন এপ্রিল ও দ্য জেনারেল অব দ্য ডেড আর্মির মতো উপন্যাসে রূপক ও বিদ্রূপকে আশ্রয় করে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিবাদ করেছিলেন কাদারে।

এরজন্য আলবেনিয়ার তৎকালীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ইসমাইল কাদারেকে দেশদ্রোহী ঘোষণা করে। ফলে গত শতকের নব্বই দশকের শুরুতে আলবেনিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমান কাদারে। একযুগ পর ২০০২ সালে তিনি দেশের ফেরেন।

গত অক্টোবরে এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাদারে বলেছিলেন, ‘সাহিত্য হলো এমন এক শক্তি, যা আপনাকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে ও একনায়কের বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করবে। আর এ্ কারণেই আমি সাহিত্যের প্রতি এত কৃতজ্ঞ। কারণ, এর মধ্য দিয়েই অসম্ভব বলে যা প্রতীয়মান হয়, তা-ও জয় করা সম্ভব।