১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Shehbaz

শহীদের প্রতি ফোটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

(শত্রুর ঘুম কেড়ে নিয়েছে পাকিস্তানের জবাব : সংসদে শাহবাজ শরীফ)

সমাজকাল ডেস্ক :
ভারতীয় হামলার জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর “মারাত্মক ও সমন্বিত প্রতিরক্ষা” প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “এই জবাবে শত্রুর ঘুম কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ভারত বুঝে গেছে—পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তির দেশ, তার শক্তি কতটা।”

বুধবার জাতীয় সংসদে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতরাতে ভারত ৮০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে ছয়টি স্থানে হামলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রাফালসহ পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও বেশ কিছু ড্রোন ভূপাতিত করে।”

তিনি জানান, ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম করে তাদের শ্রীনগরে ফিরতে বাধ্য করে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই জবাবে পুরো জাতিকে আমি অভিনন্দন জানাই।”

এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকির প্রশংসা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতি ও সংসদের পক্ষ থেকে আমি এয়ার চিফ জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকিকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁর নেতৃত্ব ও তৎপরতায় আমরা বড় ক্ষয়ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছি।”

বালুচিস্তান ট্রেন ছিনতাই প্রসঙ্গে ভারতের অভিযোগ
তিনি জানান, বালুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভারতের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাকিস্তানের কাছে রয়েছে। “এই হামলায় নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভারত এই বর্বরতায় কোনো নিন্দা না জানিয়ে বরং তামাশা করেছে—যা ইতিহাসে ঘৃণার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ (SSG) অপারেশন চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
শাহবাজ শরিফ বলেন, “এই বিজয়ের মুহূর্তে সব রাজনৈতিক দলকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি—এক হয়ে পাকিস্তানকে অজেয় করার জন্য কাজ করুন।” তিনি জানান, বিরোধীদল পিটিআইসহ সকল দলের নেতাদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তাবনা
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বিশ্বের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। কাকুল সফরে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং আন্তর্জাতিক কমিশনের মাধ্যমে তদন্তের প্রস্তাবও দিয়েছে ইসলামাবাদ—যা ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।

সংসদে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী একটি প্রস্তাব পেশ করেন—যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভূমিকার স্বীকৃতি জানানো হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn