২১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া-ইউক্রেন তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সম্মত : ট্রাম্পের দাবি

সমাজকাল ডেস্ক :

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তাৎক্ষণিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ—এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৯ মে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।

ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। তাদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে এবং এটি যুদ্ধের অবসানের একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আলোচনাপ্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং তাৎক্ষণিক সমাধান সহজ হবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন শীর্ষ নেতার (ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও ফিনল্যান্ড) সঙ্গে একটি যৌথ কলের মাধ্যমে তিনি আলোচনার পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। পুতিনও ট্রাম্পকে আলোচনায় সহায়তা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং এই পদক্ষেপকে কার্যকর বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্প ইউরোপের সম্ভাব্য নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপে অংশ নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয় বরং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা বেশি। যদিও তিনি সতর্ক করেছেন—যদি অগ্রগতি না হয়, তাহলে তিনি এ উদ্যোগ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন, কারণ ‘এটা আমার যুদ্ধ নয়।’

এই ফোনালাপের ঠিক এক দিন আগেই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেছিলেন। যদিও সেখানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি, তবে এক হাজার করে বন্দি বিনিময়ে দুই পক্ষ সম্মত হয়।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ট্রাম্প সেই পথকে এখনই সমর্থন করছেন না।

এদিকে, জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে মস্কো ও কিয়েভে গিয়ে নিরাপত্তা ও জ্বালানি অবকাঠামো রক্ষা, কৃষ্ণসাগরে নিরাপত্তা বজায় রাখা ইত্যাদি বিষয়ে অস্থায়ী চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে।