২৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাফায় তীব্র লড়াই, যুদ্ধ আর‌ও সাতমাস চলতে পারে

সমাজকাল ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরাইলের হামলার সাত পেরিয়েছে। গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এখন চলছে রক্তক্ষয়ীযুদ্ধ। রাফায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

মধ্য গাজার দক্ষিণের শহরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। আকাশ থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে রাফার দিকে। কবে থামবে এই ভয়াবহ যুদ্ধ?

ঠিক তখনই ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি দেশটির গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, যুদ্ব চলতে পারে আর‌ও সাতমাস। মানে এই বছরের শেষ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ চলতে পারে।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাঁজা ও মিশর সীমান্তের করিডোর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। যা ফিলাডেলফিয়া করিডোর নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে নিন্দা শুরু হলেও রাফায় স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইঢসরায়েলি দখলদার বাহিনী।

১৯৭৯ সালে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজা ও মিসরের মধ্যে সংকীর্ণ বাফার জোন গড়ে তোলা হয়। এর নাম ‘ ফিলাডেপলিহ করিডর’। আর বুধবার (২৯মে)‘ফিলাডেপলিহ টিভিতে এক বার্তায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতার বিষয়ে পশ্চিমা নেতা ও জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ। তিনি পশ্চিমাদের ইসরায়েলের চালানো ভয়বহতার সহযোগী বলে অভিহিত করেছেন।

এরদোয়ান বলেন, ইউরোপীয় সরকারপ্রধানরা নীরবতা পালনের মাধ্যমে ইসরায়েলের ভ্যাম্পাইরিজমের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত।

এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে মিসর। দেশটি বলছে, এটা ১৯৭৯ সালের শান্তিচুক্তির শর্ত লঙ্ঘন।
খবর: আল জাজিরা