সমাজকাল ডেস্ক:
চলমান সংঘাত ও উত্তেজনার মধ্যেই মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে চীন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিন এবং শান এলাকায় যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে। গত জানুয়ারি থেকে চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির সামরিক জান্তা ও তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তা কার্যকরভাবে পালিত হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি শুধু পর্যবেক্ষক হিসেবেই থাকবে এবং স্থানীয় পক্ষগুলোর সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। চীনের বক্তব্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারে সামরিক শাসকগোষ্ঠী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতা তীব্রতর হয়। বিশেষ করে চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংঘর্ষ বাড়ায় বেইজিং উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পর্যবেক্ষণ মিশনের মাধ্যমে চীন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের প্রভাব আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়।
চীনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে তা গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।