মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালতে তাকে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করেন।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, মেঘনা আলম বিদেশি কূটনীতিকদের, বিশেষ করে সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন এবং সেই সম্পর্ককে ব্যবহার করে আর্থিক ও রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ‘মডেলিং’ ও ‘সামাজিক যোগাযোগের’ আড়ালে বিশেষ উদ্দেশ্যে পরিচয় গোপন রেখে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
এই মামলায় তার অন্যতম সহযোগী সানজানা আক্তারকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ডিবি জানায়, এ চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশি কূটনীতিকদের টার্গেট করে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। সৌদি রাষ্ট্রদূতের নাম প্রকাশ না করলেও, তদন্ত সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনাই মূল তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু।
মেঘনা আলম ‘মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারপার্সন এবং ২০২০ সালের ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ খেতাবপ্রাপ্ত। তার এই আলোচিত গ্রেফতারের পর দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষ করে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে, ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ১০ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত চলছে এবং আরও বিদেশি কূটনীতিক ও অন্যান্য সহযোগীদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।