সমাজকাল প্রতিবেদক :
নারীর সমতা ও অধিকারের দাবিতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শুরু হয়েছে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এ কর্মসূচি।
‘সমতার দাবিতে আমরা’ স্লোগানে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রগতিশীল নারী, শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর আগে দুপুর থেকেই ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে মানুষজন জড়ো হতে শুরু করেন।
একাত্মতা জানিয়েছে একাধিক সংগঠন
এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নারী মুক্তি কেন্দ্র, উদীচী, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, তীরন্দাজ, নারী সংহতি, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনসহ প্রায় ১৫টি সংগঠন।
নারীর অধিকারের পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রতিবাদ
আয়োজকরা জানান, নারীসমতার দাবির পাশাপাশি সমাজে নারীদের প্রতি অবহেলা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। কর্মসূচিতে ঘোষিত ৩১টি স্লোগানের তালিকায় নারীর নিরাপত্তা, শ্রমিক অধিকার, ফ্যাসিবাদবিরোধিতা, এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির বার্তাও রয়েছে।
কেন এই ‘মৈত্রী যাত্রা’?
বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোতে দীর্ঘদিন ধরেই নারীরা বৈষম্য, সহিংসতা ও নানা রকম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে আসছেন। ঘরে-বাইরে, কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাঙ্গনে নারীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমান অধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারী নির্যাতনের একের পর এক ঘটনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাজপথে নারীর অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি—এসবই জনমনে ক্ষোভ তৈরি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটেই উঠে এসেছে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ নামের এই সম্মিলিত পদক্ষেপ। আন্দোলনের ভাষায় এটি কেবল একটি কর্মসূচি নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক প্রচেষ্টা, যা নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তনের ডাক দেয়।
একইসঙ্গে এটি একটি প্রতিরোধ—অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে, এবং রাষ্ট্র-সমাজে নারীকে ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করার কাঠামোর বিরুদ্ধে। আয়োজক সংগঠনগুলোর মতে, এটি শুধুই নারীর লড়াই নয়, বরং শ্রেণি-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমতার স্বপ্নে বিশ্বাসী সব মানুষের একটি ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিবাদ।
এই যাত্রায় নারীর মর্যাদা, কর্মজীবী নারীর শ্রমের স্বীকৃতি, যৌন সহিংসতার প্রতিরোধ, দমন-পীড়নের অবসান এবং সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতিও এই আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
প্রয়োজনে এটি আরও সংক্ষিপ্ত বা সংবাদভাষায় রূপান্তর করে দিতে পারি। চাইলে স্লোগান বা প্ল্যাকার্ডের ভাষার নমুনাও যোগ করে দিতে পারি। বলবেন কি লাগবে?