সমাজকাল ডেস্ক :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলমান আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার কাকরাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি এই শাটডাউন ঘোষণা দেন।
🔴 শাটডাউন ঘোষণা ও প্রতিবাদ ভাষণ
অধ্যাপক রইস উদ্দিন বলেন, “আমরা কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে আসিনি, এসেছি আমাদের ন্যায্য অধিকার চাইতে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা বা প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ যেভাবে নির্বিচারে আমাদের ওপর হামলা করেছে, তা সম্পূর্ণ অরাজকতা। আমাদের শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে আর আঘাত কেউ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
📢 চলমান অবস্থান কর্মসূচি
প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনেকেই রাতে রাস্তায় ঘুমিয়ে সকালেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাঁট চলবে না’, ‘হামলার বিচার চাই’—এসব স্লোগানে কাকরাইল প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে।
📌 শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু
২. পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও বাস্তবায়ন
৪. ১৪ মে পুলিশের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
🔴 পুলিশের হামলা ও পরবর্তী পরিস্থিতি
গতকাল (১৪ মে) সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লংমার্চ শুরু করে গুলিস্তান, মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে চলে লাঠিচার্জ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিক আহত হন।
রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ব্রিফিংয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। মাহফুজকে লক্ষ্য করে কেউ বোতল ছুড়ে মারলে তিনি ব্রিফিং বন্ধ করে চলে যান।
📍 বর্তমান পরিস্থিতি:
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক সমিতির শাটডাউন ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য অনিশ্চয়তায় পড়েছে।