২৩ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Abdul Hamid

চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সমাজকাল :

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেছেন। বুধবার (৭ মে) রাত ১১টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র সমাজকালকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাত্রায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা ছিল না। দেশত্যাগে আইনগত কোনো বাধা না থাকায় তাঁকে যাত্রায় কোনো সমস্যা হয়নি। জানা গেছে, তাঁর এই সফর মূলত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং চিকিৎসার জন্য। আবদুল হামিদের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ এবং শ্যালক ডা. নওশাদ খান।

পারিবারিক সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন আবদুল হামিদ। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন।

আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম দফায় শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যা শেষ হয় ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষে তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় ব্যক্তিগত বাসভবনে বসবাস করছেন।

তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে কিশোরগঞ্জে ২০১৮ সালের একটি ছাত্র আন্দোলন ও গুলি চালনার ঘটনার জের ধরে আবদুল হামিদসহ মোট ১২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামও রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।