২১ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে যোগ দেবে তুরস্ক

সমাজকাল ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে যাচ্ছে তুরস্ক।

 

এ মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে আজ বুধবার নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আইসিজের সদর দফতরে তুরস্ক একটি প্রস্তাবের ঘোষণা দেবে বলে কূটনৈতিক এক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

 

কূটনৈতিক ওই সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শীর্ষ এই আদালতে আজ আন্তর্জাতিক মান সময় ১৩টা ৩০ মিনিটে তুরস্কের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি দেওয়া হবে। এর আগে চলতি সপ্তাহে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন যে, তুরস্ক বুধবার ঘোষণাটি দেবে।

 

কূটনৈতিক ওই সূত্রটি বলেছে যে, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের এই হস্তক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গাজায় চলমান মানবিক সংকটকে স্বীকৃতি দিতে ও মোকাবিলা করতে বাধ্য করবে।’

 

গত মে’তে এক ঘোষণায় তুরস্ক বলেছিল যে, গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা যে মামলা শুরু করেছে, তাতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরইমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তুরস্ক আরও বলে যে, হেগে তারা যে প্রস্তাব রাখতে যাচ্ছে তার প্রয়োজনীয় আইনি প্রস্তুতিও অনুসরণ করবে তারা।

 

তুরস্কের এই ঘোষণার পরের মাসে (জুন) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনি সংস্থা আইসিজে’কে এই মমলায় হস্তক্ষেপ করতে আহ্বান জানিয়েছিল স্পেন।

 

তবে ইসরায়েল বারবার তার বিরুদ্ধে করা গণহত্যা মামলার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে। স্বপক্ষে   যুক্তি দিয়ে আদালতে ইসরায়েলে বলেছে যে, আত্মরক্ষার জন্যই তারা গাজায় অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানের দায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর চাপিয়ে দেশটি দাবি করেছে যে, ৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোয় তারা হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালনা করেছে।

 

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মোকাবিলার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে গঠিত হয়। আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ওই রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আইন বিষয়ে পরামর্শ বা মতামত দেওয়াই এর প্রধান কাজ। নেদারল্যান্ডের হেগের সদর দফতর থেকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আইনি সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয় পরের বছরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *