১৩ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একশ বছরে এই প্রথম মিলল পুরো ডাইনোসরের জীবাশ্ম

সমাজকাল ডেস্ক:

একশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি পুরো ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইংল্যান্ডের আইল অফ উইট দ্বীপে আমেরিকান পুরুষ বাইসনের সমান বড় এক তৃণভোজী ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান মিলেছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, হৃষ্টপুষ্ট ডাইনোসরটি বর্তমানে কম্পটোনাটাস চেসেই নামে পরিচিত, যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি বছর আগে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে ঘুরে বেড়াত। আর এর ভর ছিল আফ্রিকার হাতির সমান। আর শরীরে হাড়ের সংখ্যা মোট ১৪৯টি।

সংবাদমাধ্যমটি জানাচ্ছে, এটি এক তৃণভোজী ডাইনোসর শ্রেণির অন্তর্গত, যা ইগুয়ানোডন্টিয়ান নামে পরিচিত। আকারে বড় ও হৃষ্টপুষ্ট এই ডাইনোসরটিকে প্রায়শই ক্রিটেসিয়াস যুগের গরু বলে উল্লেখ করে থাকেন জীবাশ্মবিদরা।

স্কাই নিউজ বলছে, ফসিলটির প্রথম সন্ধান পেয়েছিলেন জীবাশ্মবিদ নিক চেজ, যিনি কভিড-১৯ মহামারীর ঠিক আগেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর তার নামানুসারেই প্রজাতিটির নামকরণ হয়েছে।

গবেষক দলের সদস্য ও ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথ-এর পিএইচডি শিক্ষার্থী জেরেমি লকউড বলেন, প্রাপ্ত জীবাশ্মের নমুনা বিশ্লেষণের তাদের বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছে। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে আমরা এ ডাইনোসরের জীবাশ্মের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করি। আর এটা আমার পিএইচডি থিসিসেরও অংশ ছিল, যা শেষ করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। ফলে, জীবাশ্মের খোঁজ থেকে এ গবেষণা প্রকাশ করার যাত্রাটি বেশ দীর্ঘ ছিল।

চেজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লকউড বলেন, ডাইনোসরের হাড় খুঁজে পাওয়ার বেলায় নিকের নাক অনেক প্রখর ছিল। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, চেজ প্রতিদিনই জীবাশ্ম সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন জাদুঘরে দান করে দিতেন। এর আগে ইউরোপের সবচেয়ে বড় আকারের স্থলভিত্তিক শিকারী ডাইনোসরের দেহাবশেষও খুঁজে পেয়েছিলেন নিক চেজ, যা সবার সামনে এসেছে গত বছর।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইল অফ উইট জীবাশ্মবিদদের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে, এখানে গত পাঁচ বছরে আটটি বিলুপ্ত প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। স্কাই নিউজ বলছে, সর্বশেষ এ চমকপ্রদ সন্ধান থেকে ইঙ্গিত মেলে, একসময় বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র ছিল দক্ষিণ ইংল্যান্ড।

প্রসঙ্গত, প্রায় সাত হাজার বছর আগে নিজের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল আইল অফ উইট দ্বীপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *