সমাজকাল ডেস্ক :
আজ মঙ্গলবার, ৬ মে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১২৬তম দিন। বছর শেষ হতে বাকি রয়েছে আরও ২৩৯ দিন। এই দিনে বিশ্ব ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে—আন্দোলনের সূত্রপাত, যুদ্ধের পালাবদল, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পের নতুন দিগন্ত উন্মোচন, নারীর অধিকারের অগ্রযাত্রা কিংবা কূটনীতির মোড় ঘোরা—সব মিলিয়ে ৬ মে একাধিক ঘটনার জন্য স্মরণীয়। বাংলাদেশের ইতিহাসেও দিনটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজকাল-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো আজকের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী:
বিশ্ব ইতিহাসে আজকের দিনটি
১৮৮৯ – প্যারিসে আইফেল টাওয়ার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থাপনা আইফেল টাওয়ারের নির্মাণ সম্পন্ন হয় এদিন। ফরাসি প্রকৌশলী গুস্তাভ আইফেলের নামানুসারে তৈরি এই টাওয়ারটি বিশ্ব মেলায় অংশগ্রহণের জন্য নির্মিত হলেও পরবর্তীতে ফ্রান্সের প্রতীক হয়ে ওঠে।
১৯৩৭ – হিন্ডেনবার্গ বিপর্যয়: জার্মান এয়ারশিপ যুক্তরাষ্ট্রে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত হয়।
নিউ জার্সির লেইকহার্স্টে অবতরণের সময় হিন্ডেনবার্গ নামক জার্মান জেপেলিন বিস্ফোরিত হয়। এই দুর্ঘটনায় ৩৬ জন প্রাণ হারান এবং এটি এভিয়েশন ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত বিপর্যয়ের একটি হয়ে ওঠে।
১৯৫৪ – রজার ব্যানিস্টার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৪ মিনিটের কম সময়ে এক মাইল দৌড়ান।
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে তিনি ৩ মিনিট ৫৯.৪ সেকেন্ডে এই দূরত্ব অতিক্রম করেন। এটি ছিল মানব সক্ষমতার একটি বড় প্রমাণ ও ক্রীড়াবিজ্ঞানে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
১৯৯৪ – ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে চ্যানেল টানেলের উদ্বোধন।
কুইন এলিজাবেথ ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ এই সুদীর্ঘ টানেল উদ্বোধন করেন। এটি ইউরোপে স্থলভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে আজকের দিনটি
১৯৭৯ – জেনারেল জিয়াউর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মর্যাদা সংবর্ধনা গ্রহণ করেন।
এদিন ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা লাভ করেন, যা ছিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি মাইলফলক।
২০০৪ – তাজউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যু।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রবীণ নেত্রী ও সংগঠক সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন তিনি।
২০০৭ – বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘আকালি’ আঘাত হানে।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং ফসল ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়।