সমাজকাল ডেস্ক :
আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১১০তম দিন (অধিবর্ষে ১১১তম)। বছর শেষ হতে বাকি রয়েছে আরও ২৫১ দিন।
এই দিনে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেইসব গুণী মানুষকে, যাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের ছাপ রেখে গেছেন। তাঁদের অবদান, চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতা আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাঁদের নাম থেকে যায় ইতিহাসের পাতায়, মানুষের মনে। সমাজকাল পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
১৮০০ – জ্যাকুইন মুরাত (Joachim Murat):
ফরাসি বিপ্লব ও নেপোলিয়নিক যুদ্ধের সময় ফ্রান্সের সেনাপতি ছিলেন। নেপোলিয়নের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুরাত। পরে তিনি নেপলসের রাজা হন। সাহসী এবং কৌশলী সেনানায়ক হিসেবে ইতিহাসে তাঁর স্থান অমলিন।
১৯১৫ – রুপার্ট ব্রুক (Rupert Brooke):
ইংরেজ কবি, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে রচিত তাঁর কাব্যগ্রন্থ “1914 and Other Poems”-এর জন্য বিখ্যাত। তাঁর কাব্যে দেশপ্রেম ও করুণ বাস্তবতা এক অপূর্ব সংমিশ্রণে প্রকাশ পেয়েছে।
১৯৪২ – লুসি মড মন্টগোমেরি (L. M. Montgomery):
কানাডীয় লেখিকা, যিনি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ‘Anne of Green Gables’ সিরিজের স্রষ্টা। তাঁর রচনায় প্রকৃতি, মানবিক সম্পর্ক এবং মেয়েশিশুদের আত্মপ্রতিষ্ঠার গল্প অনন্য ভঙ্গিতে উঠে এসেছে।
১৯৬৬ – সৈয়দ আবুল হোসেন (Syed Abul Hossain):
প্রখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সাহিত্যিক। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতিতে তাঁর অবদান স্মরণীয়।
১৯৮৬ – ওয়ালেস কারুথারস (Wallace Carothers):
আমেরিকান রসায়নবিদ, যিনি নাইলনের আবিষ্কারক হিসেবে খ্যাত। বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনে তাঁর অবদান আধুনিক শিল্পে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।
২০০৪ – এস্থার অ্যাফরিয়ান (Esther Afriyie):
ঘানার শিক্ষাবিদ ও নারী অধিকার কর্মী। আফ্রিকায় নারী শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে তিনি ছিলেন অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী।
২০২১ – অ্যালবার্ট বেনজামিন এলিস (Albert Benjamin Ellis):
যুক্তরাষ্ট্রের মনোবিজ্ঞানী, যিনি র্যাশনাল ইমোটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (REBT)-এর প্রবর্তক। আধুনিক মনোবিজ্ঞানে কগনিটিভ থেরাপির ভিত্তিভূমি গড়তে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
এই মহৎ ব্যক্তিত্বরা চলে গেলেও, তাঁদের চিন্তা, কাজ ও আদর্শ আজও আমাদের পথ দেখায়। সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও সাহিত্যে তাঁদের অবদান আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় প্রতিনিয়ত।