১৫ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩০ এপ্রিল | জন্মদিনে যাঁদের মনে রাখি

সমাজকাল ডেস্ক :

আজ ৩০ এপ্রিল। ইতিহাসের পাতায় প্রতিটি দিনই সাক্ষী হয়ে থাকে এমন কিছু মানুষের জন্মের, যাঁদের কর্ম ও প্রজ্ঞায় সময়ের সীমানা অতিক্রম করে আসে আলোকবর্তিকা। সাহিত্যে, সংগীতে, রাজনীতিতে কিংবা বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে তাঁদের অবদান আজও আলো ছড়ায় মানবসমাজে। আজকের দিনে জন্ম নেওয়া সেইসব গুণী মানুষদের প্রতি সমাজকাল জানায় বিনম্র শ্রদ্ধা।

কার্ল ফ্রিডরিখ গাউস (১৭৭৭) – জার্মান গণিতবিদ ও পদার্থবিদ, যিনি গাণিতিক বিশ্লেষণ, জ্যামিতি, সম্ভাব্যতা তত্ত্ব, বিদ্যুৎচৌম্বকতা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে মৌলিক অবদান রেখে গেছেন। গণিতকে আরও সংগঠিত ও প্রমাণভিত্তিক শাখায় রূপান্তরিত করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

ফেলিক্স মেন্ডেলসন (১৮০৯) – জার্মান রোমান্টিক যুগের সুরকার, যাঁর রচনা ‘A Midsummer Night’s Dream’ এবং ‘Songs Without Words’ আজও সিম্ফোনি হলে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

ভলফগ্যাং শ্যুসেল (১৯৪৫) – অস্ট্রিয়ার প্রাক্তন চ্যান্সেলর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী রাজনীতিবিদ।

কিং কার্ল গুসতাফ (১৯৪৬) – সুইডেনের বর্তমান রাজা, যিনি পরিবেশ সংরক্ষণ, বিজ্ঞান ও শান্তি প্রচারে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন।

কিরণ দেশাই (১৯৭১) – ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাহিত্যিক, যিনি The Inheritance of Loss উপন্যাসের জন্য ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জন করেন। তার লেখায় উপনিবেশবাদ-উত্তর অভিজ্ঞতা, পরিচয় সংকট ও অভিবাসন-বাস্তবতা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।

গ্যাল গ্যাডট (১৯৮৫) – ইসরায়েলি অভিনেত্রী ও সাবেক মিস ইসরায়েল। Wonder Woman চরিত্রে অভিনয় করে নারীর শক্তি ও সাহসের নতুন প্রতীক হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেন।

জন ডালি (১৮৫৬) – প্রখ্যাত ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক ও আবিষ্কারক, যিনি ভারতের ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

এই দিনে জন্ম নেওয়া আরও অনেক গুণীজন হয়তো ইতিহাসের পাতায় নেই, কিন্তু তাঁদের শিক্ষা, দর্শন ও মানবিক চিন্তা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে নিরবে। শিক্ষক, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, শিল্পী কিংবা নিঃস্বার্থ চিকিৎসক—তাঁদের প্রত্যেকের জন্ম সমাজের জন্য ছিল আশীর্বাদ।

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটেও হয়তো এই দিনে জন্মেছেন এমন কেউ, যাঁর জীবন অন্যের জীবনে আলো জ্বালিয়েছে। তাঁদের সবার জন্মদিনে সমাজকালের পক্ষ থেকে রইল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং গভীর কৃতজ্ঞতা।