১৫ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ সেপ্টেম্বর, যে খ্যাতিমানদের হারিয়েছি এই দিনে

সমাজকাল ডেস্ক:

আজ রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর। যে খ্যাতিমানদের হারিয়েছি এই দিনে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

১ সেপ্টেম্বর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৪৪তম (অধিবর্ষে ২৪৫তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১২১ দিন বাকি।

এভাবে দিন আসে দিন যায়। অতীত কালের সময় বাড়ে। কোন না কোনভাবে প্রতিটি দিন হয় ইতিহাস। প্রতিদিন জন্ম নেয় অসংখ্য মানুষ। এরমধ্যে কেউ কেউ ইতিহাসের অংশ হন। খ্যাতিমানদের কেউ কেউ আবার চলে যান গড়ে। রয়ে যায় তাদের কর্ম।

বিখ্যাত ব্যক্তিরা আজকের এবং আগামীর জন্য অনুপ্রেরণা। তাই তাদের সম্পর্কে জানা আজকের প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। সবার নাম উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।

প্রজন্মের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে সমাজকালের পাঠকদের জন্য প্রতিদিনের আয়োজন সেই সব আলোকিত ব্যক্তিদের স্মরণে, এই দিনে যাদের হারিয়েছি।

 

১১৫৯: পোপ চতুর্থ অ্যাড্রেইন।

১৫৫৭: জ্যাকস কার্টিয়ার, ফরাসি অভিযাত্রী। তাকে কানাডার অন্যতম আবিস্কারক মনে করা হয়।

১৫৭৪: গুরু অমর দাস তৃতীয়।

১৫৮১: গুরু অমর দাস চতুর্থ।

১৬৪৪: ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস।

১৬৪৮: মারাঁ মের্সে, ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সঙ্গীতজ্ঞ।

 

১৬৮৭: হেনরি মুর, ইংরেজ দার্শনিক।

তিনি তার অর্ধ- বিমূর্ত বিশাল ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীজুড়ে গণপূর্ত শিল্প নিদর্শন হিসেবে ছড়িয়ে রয়েছে এসব ভাস্কর্য। এর পাশাপাশি মুর প্রচুর চিত্রশিল্প নির্মাণ করেছেন, যার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডনবাসীদের বিমান আক্রমণ থেকে আশ্রয় নেওয়ার একটি চিত্রও আছে, সাথে আছে কাগজে আঁকা আরও চিত্রলেখ।

১৭১৫: চতুর্দশ লুই ফ্রান্সের রাজা।

১৯০৪: আলফ্রেড রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৩০: জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

তিনি ছিলেন ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। ছাত্রাবস্থায় ১৮ এপ্রিল ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। পরে ফেনী (আগে নোয়াখালী জেলা ও এখন ফেনী জেলা) রেল স্টেশনে ধরা পড়ে পুলিসহাজত থেকে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট সাহেব পরিচালিত পুলিশবাহিনীর সঙ্গে চন্দননগরে এক সশস্ত্র সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা যান।

 

১৯৭০: নোবেলজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক।

 

১৯৭৫: তারাপদ চক্রবর্তী, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কন্ঠ শিল্পী ও সঙ্গীতাচার্য।

তিনি কোটালি ঘরানার পথপ্রদর্শক, যা কোনো রাগ উপস্থাপনের সময় আলাপের ধীর পরিবেশনের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় নানা উপাধিতে ভূষিত হন। ভাটপাড়া পণ্ডিতসমাজ কর্তৃক সঙ্গীতাচার্য, বিদ্বৎ সম্মিলনী থেকে সঙ্গীতরত্নাকর ও কুমিল্লা সংগীত পরিষদ থেকে ‘’সংগীতার্ণব’উপাধি লাভ করেন।

১৯৭২ সালে তিনি সংগীত-নাটক অ্যাকাডেমির সদস্য নির্বাচিত হন এবং রাজ্য সরকারের আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৭৩ সালে জীবনসায়াহ্নে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করলে তিনি ওই উপাধি গ্রহণে অসম্মতি জানান। তিনি বিশ্বভারতীর নির্বাচন-বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

 

১৯৮১: অ্যান হার্ডিং, মার্কিন মঞ্চ, চলচ্চিত্র, বেতার ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।

তিনি ১৯২০-এর দশকে ব্রডওয়ে ও আঞ্চলিক মঞ্চের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন এবং ১৯৩০-এর দশকে নতুন মাধ্যম সবাক চলচ্চিত্রে খ্যাতি অর্জনকারী প্রথম অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তিনি হলিডে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

 

১৯৮২: হার্সেল কুরি, মার্কিন গণিতবিদ।

২০০৪: মুফতি আহমেদ কুফতার, সিরিয়ার গ্রান্ড।

 

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইতিহাস সম্পর্কিত বই