১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ট্রাম্প

১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন, অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

সমাজকাল ডেস্ক :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রায় ১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে—এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এই পরিকল্পনাকে ‘অবাস্তব ও মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এনবিসি জানিয়েছে, গোপন ওই পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত পাঁচ মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন দাবি করেন, গাজার জনগণকে স্থায়ীভাবে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি লিবিয়ার শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগও করেছে।

এনবিসির রিপোর্টে আরও বলা হয়, লিবিয়া যদি এই পরিকল্পনায় রাজি হয়, তাহলে তাদের জব্দ করা শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এসব সম্পদ আটকে রাখা হয়েছে।

তবে এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সমঝোতায় পৌঁছায়নি বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলও এই পরিকল্পনার অগ্রগতির বিষয়ে অবগত রয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে একাধিকবার অনুরোধ করলেও এনবিসির কাছে কোনও মন্তব্য করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই এক মার্কিন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, “এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবতাবিরোধী এবং এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এনবিসির প্রতিবেদনের তথ্যগুলো মিথ্যা।”

হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম জানান, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় পুনর্বাসন বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। উল্লেখ্য, হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ইসরায়েলি সরকারও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এদিকে, লিবিয়া নিজ দেশেই দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত। পশ্চিমাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবাহ এবং পূর্বাঞ্চলে সেনা শাসক খলিফা হাফতারের নেতৃত্বে দুটি সরকার চলছে, যারা প্রায়শই সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এমন প্রেক্ষাপটে ১০ লাখ মানুষ পুনর্বাসনের ধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকেরা।

দেবেইবাহ সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিও নিশ্চুপ রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn