সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে : সেনা সদর। সীমান্তে আরসা ও কেএনএফ তৎপরতা এবং ৩০ হাজার ইউনিফর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা। সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তার স্পষ্ট বার্তা— ‘বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে এবং সম্পূরকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা। সোমবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমরা কাজ করছি। বর্ডার ইস্যু থেকে শুরু করে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের নির্দেশনাতেই কাজ করছি।”
‘করিডর ইস্যু স্পর্শকাতর, আলোচনা প্রয়োজন’
করিডর ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোনো আলাদা অবস্থান নেই। সরকার ও সেনাবাহিনী আলাদা চিন্তা করছে— এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। আমরা সম্মিলিতভাবে দেশের স্বার্থেই কাজ করছি।”
কেএনএফ পোশাক নিয়ে উদ্বেগ, তদন্তে সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কেএনএফ-এর (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) পোশাক উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, “৩০ হাজার ইউনিফর্ম তৈরির ছবি আসার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। সংগঠনটি বম সম্প্রদায়নির্ভর, যাদের জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। তাহলে এই বিপুল সংখ্যক পোশাক কার জন্য তৈরি হচ্ছিল— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
‘বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, সেনাবাহিনী প্রস্তুত’
আরসা এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সীমান্তে চলমান তৎপরতা প্রসঙ্গে জেনারেল নাজিম বলেন, “বর্ডার আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আমরা কখনোই সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে আপোস করিনি, করবও না। যতক্ষণ আমাদের শক্তি থাকবে, ততক্ষণ সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জটিল। রাখাইন রাজ্যের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, যেটি স্বীকৃত কোনো সংস্থা নয়। ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর চলাচল অস্বাভাবিক নয়, তবে তা নজরদারির বাইরে নয় বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।