সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ, ‘কালাকানুন’ বাতিলের দাবিতে ফের বিক্ষোভ। সচিবালয়ের সব গেট বন্ধ করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়েছেন।
সমাজকাল প্রতিবেদক:
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের সব গেট আজ সোমবারও বিক্ষোভকারীদের দখলে। সকাল থেকেই শত শত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সচিবালয়ের প্রবেশপথগুলোয় জড়ো হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট অবরোধ করেন। তিন নম্বর গেট বন্ধ না থাকায় তা জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পৌনে ১টা পর্যন্ত চলমান প্রতিবাদে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সদ্য জারিকৃত অধ্যাদেশটি ‘নিবর্তনমূলক’ এবং ‘কালাকানুন’—যা সরকারি চাকরিজীবীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে।
কোন অপরাধে শাস্তি?
রবিবার অধ্যাদেশটি জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীরা (সকল শ্রেণির কর্মচারী) যদি নিম্নোক্ত চারটি কাজের যেকোনো একটিতে জড়িত হন, তবে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে:
১. অন্যকে অনানুগত্যে প্ররোচনা দেওয়া বা নিজের কাজ থেকে অযৌক্তিক অনুপস্থিতি
২. সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতি পালন বা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিত থাকা
৩. অন্য কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া
৪. কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হওয়া বা তা থেকে ইচ্ছাকৃত বিরত থাকা
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, অভিযোগের সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে শাস্তি আরোপের জন্য আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বিক্ষোভের দাবিগুলো কী?
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, অধ্যাদেশটি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত। এতে কর্মচারীদের মতামত নেওয়া হয়নি এবং তা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অনেকের অভিযোগ, এটি ‘তদারকির নামে’ প্রশাসনিক দমননীতি চালুর ইঙ্গিত দেয়।
অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।