শুক্রবার যে সব মার্কেট, দোকানপাট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে
জীবনধারা ডেস্ক
আজ শুক্রবার, যেসব মার্কেট, দোকানপাট এবং বিনোদন কেন্দ্রে বন্ধ থাকছে তা জেনে নেই।
রাজধানী ঢাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে। প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার শহর ঢাকা। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর নিত্য দিনের চাহিদা মেটাতে রয়েছে মার্কট, দোকান-পাট ও বিপণি বিতান। শিশু ও সব বয়সের জনগণের চাহিদার বিপরীতে রয়েছে দর্শনীয় স্থান, বিনোদন কেন্দ্র।
এসব মার্কেট ও দোকানপাট এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও থাকে সাপ্তাহিক বন্ধ।
আজ শুক্রবার। সপ্তাহের এই দিনটিতেও কিছু কিছু এলাকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকে। কোন দিন কোন মার্কেট খোলা বা বন্ধ থাকে তা জানতে পারলে, নিজের পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা। হয়। আসুন জেনে নেই শুক্রবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে :
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার।
রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিপি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলেসেল মার্কিট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে:
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, দোলাই, টিপু সুলতান রোড , ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ,জয়কালি মন্দির।
আরও বন্ধ থাকছে, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদসঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
দর্শনীয় স্থান ও বিনোদন কেন্দ্র :
শিশু একাডেমি
শিশু একাডেমি জাদুঘর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সামরিক জাদুঘর
এটি বিজয় সরণিতে অবস্থিত। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধ থাকে।
শনিবার থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর
আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার বন্ধ থাকে।
শনিবার থেকে বুধবার প্রতিদিন সবাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫ টাকা।
শনি ও রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে টেলিস্কোপে আকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
বাংলাবাজার বইয়ের মার্কেট :
বইয়ের মার্কেট বলতে এক সময় পুরনো ঢাকার সদর ঘাটের বইয়ের বাজারকেই মনে করা হতো। অনেক পরে রাজধানীর আরও কয়েকটি জায়গায় বইয়ের বাজার গড়ে উঠে। এরমধ্যে বাংলাবাজারও আরও বড় হয়। মোগল আমলের আগে বাঙালিরা এই বইয়ের বাজার প্রতিষ্ঠা করে।
বিক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠে সিপাহি বিদ্রোহের পর থেকে। প্রকাশনা পর্ব শুরু হয় ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর। প্রকাশনার প্রথম থেকেই পাঠ্যপুস্তক ও সৃজনশীল-এই দুই ধারার বই ছিল। বাংলাবাজার ধীরে ধীরে বইয়ের আড়ৎ হয়ে যায় বাংলাবাজার।
বাংলাদেশের প্রকাশনী মালিকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৮৫ সালের পর থেকে নতুনভাবে বই বাজারের বাণিজ্য শুরু হয়। বর্তামানে এখানে দোকানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। চারশ’র বেশি প্রকাশক। এই বাজারকে ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা। প্রতিদিন ছয় থেকে সাত কোটি টাকার সৃজনশীল বই লেনদেন হয়।