১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Lalmonirhat

লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু করলে ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেবে ভারত

লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু করলে ‘পাল্টা ব্যবস্থা’ নেবে ভারত, লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগে ভারতের উদ্বেগ, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কৈলাশহরের পুরনো ঘাঁটি চালুর পরিকল্পনা করছে ভারত—বিস্তারিত প্রতিবেদন সমাজকালে।

সমাজকাল ডেস্ক:

বাংলাদেশ যদি লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালু করে, তবে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরের পুরনো বিমানঘাঁটি চালুর উদ্যোগ নেবে—এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ চীনের সহায়তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি সচল করার পরিকল্পনা করছে। যদিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনো চীনা সংশ্লিষ্টতার তথ্য তাদের কাছে নেই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা সোমবার সেনাসদরে এক ব্রিফিংয়ে জানান, “দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা লালমনিরহাট বিমানবন্দর কৌশলগত প্রয়োজনেই সচল করা হচ্ছে।”

তবে এনডিটিভির দাবি, ভারতের প্রশাসন আশঙ্কা করছে বিমানবন্দরটি চীনা সামরিক উপস্থিতির জন্য ব্যবহার হতে পারে। বিশেষ করে ভারতের ‘চিকেন নেক’ করিডোরের খুব কাছাকাছি অবস্থান করায় নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ বেড়েছে। চিকেন নেক করিডোরটি ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে, যা কৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয় পাল্টা পদক্ষেপের ইঙ্গিত

এনডিটিভি আরও জানায়, বাংলাদেশ যদি চীনের সহায়তায় বিমানবন্দর সচল করে এবং সেখানে নজরদারি সরঞ্জাম, যুদ্ধবিমান বা সামরিক অবকাঠামো গড়ে ওঠে, তাহলে ভারত ত্রিপুরার কৈলাশহর ঘাঁটি পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও প্রাথমিকভাবে এটি বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে, তবুও অবকাঠামো উন্নত করে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটিকে সামরিক জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

২৬ মে কৈলাশহর ঘাঁটিতে ভারতীয় এক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত তাদের ‘মূল্যবান মিত্র’ হিসেবে দেখত, যিনি চীনের প্রভাব ঠেকাতে সহায়ক ছিলেন। তবে তার পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ফলে দিল্লিতে উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, এই সরকার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কে আগ্রহী, যা ভারতের দৃষ্টিতে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn