১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
India-pakistan-flag

যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল ভারত : দাবি পাকিস্তানের

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছিল। আইএসপিআর প্রধানের মন্তব্য ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমাজকালে।
সমাজকাল ডেস্ক:
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআর। রোববার রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি অ্যারাবিক-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “গত ৬ ও ৭ মে রাতে ভারত পাকিস্তানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। জবাবে পাকিস্তান দ্রুত ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। ভারত এতে হতবাক হয়ে পড়ে এবং এরপর ১০ মে সকালে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।”

আইএসপিআর প্রধান আরও জানান, পাকিস্তান আত্মরক্ষামূলক ও ন্যায্য জবাব দেয়। তাঁর ভাষায়, “আমরা কেবল ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করেছি, কোনো বেসামরিক অবকাঠামোকে নয়। এটাই ছিল আমাদের সংযত ও সুষম প্রতিক্রিয়া।”

তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের একাধিক বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মসজিদসহ নারী ও শিশুদের আশ্রয়স্থল। এই হামলায় বহু বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

কূটনৈতিক বার্তা
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করে জেনারেল শরিফ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিধর দেশগুলো পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ মনোভাবকে সম্মান জানিয়েছে। আমরা সংঘর্ষ চাই না, বরং শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী।”

তিনি জানান, সংঘাতের সময় পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। “আমরা প্রতিবারই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করেছি,”— বলেন তিনি।

কাশ্মির ইস্যুতে মন্তব্য
কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “হামলার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যম পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, অথচ তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দিন পরে জানায়, তদন্ত এখনো চলমান। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দোষারোপ করা যুক্তিসঙ্গত নয়।”

তিনি জানান, পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছিল নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার, কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে একতরফাভাবে আগ্রাসন চালায়।

🔍 সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন

  • ভারতের ভাটিন্ডা বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিলো পাকিস্তান
  • ৫ ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, ৩টি ছিল রাফাল
  • পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় স্তব্ধ ভারতীয় সামরিক বাহিনী
  • যুক্তরাষ্ট্রের চাপে যুদ্ধবিরতির দিকে মোদি প্রশাসন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn