১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
CPB_logo

মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে গিয়ে মন্দা ডেকে আনা হয়েছে : অন্তর্বর্তী বাজেট নিয়ে সিপিবির কড়া সমালোচনা

মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে গিয়ে মন্দা ডেকে আনা হয়েছে : অন্তর্বর্তী বাজেট নিয়ে সিপিবির কড়া সমালোচনা, সিপিবি বলছে, মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে গিয়ে মন্দা ডেকে আনা হয়েছে। ২০২৫-২৬ বাজেট চমকহীন ও সংকোচনমূলক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নামে বেকারত্ব ও মন্দা ডেকে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ দলের।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “মন্দার বাজেট” আখ্যা দিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
আজ ২ জুন এক যৌথ বিবৃতিতে দলের সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “মূল্যস্ফীতি রোধ করতে গিয়ে সরকার এমন এক সংকোচনমূলক বাজেট দিয়েছে, যা দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট হিসেবে এটি একটি অনির্বাচিত সরকারের প্রণীত বাজেট, যেখানে কাঠামোগত কোনো পরিবর্তনের সুযোগ না থাকলেও কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা চমকহীন, গৎবাঁধা এবং সংকোচন নীতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।

তাঁরা অভিযোগ করেন, “এই বাজেটে উৎপাদনশীল খাতে কোনো বাড়তি মনোযোগ নেই। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ ধরা হলেও বাস্তবতায় তা ৩ শতাংশের কাছাকাছি নামতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস। ফলে কর্মসংস্থান না বাড়িয়ে উল্টো বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাবে।”

সিপিবি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “বাজেটের বড় ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও লুটপাটকারী, পাচারকারী, কালোটাকার মালিক কিংবা ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ বাজেটে নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন কিংবা সামাজিক নিরাপত্তার খাতে বড় কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”

তাঁরা উল্লেখ করেন, বাজেটে কিছু আংশিক শুল্ক-কর ছাড়, নিম্ন আয়ের মানুষের কর-মুক্ত সুবিধা, এবং সামাজিক সুরক্ষায় কিছু সংস্কার থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। “সুদের হার বেশি, কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়ছে, আমদানি নির্ভরতা ও মুদ্রার ওপর চাপ কমেনি—এই বাজেট কৃষক, মধ্যবিত্ত ও খেটেখাওয়া মানুষকে স্বস্তি দিতে ব্যর্থ।”

বিবৃতিতে সিপিবি দাবি করে, এই বাজেট সরকারপ্রণীত হলেও প্রকৃতপক্ষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) কড়া শর্ত মেনে তৈরি। ফলে বৈষম্যহীনতা নয়, বরং বৈষম্য বৃদ্ধির ঝুঁকিই এতে বেশি।

তারা বলেন, “মূল্যস্ফীতি সাময়িকভাবে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এর বিনিময়ে দেশের অর্থনীতি মন্দার দিকে এগোচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে বিদেশ নির্ভরতা বাড়ছে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হুমকিতে পড়ছে।”

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn