বগুড়া প্রতিনিধি :

বগুড়ার মহাস্থানগড়ে রূপালী ব্যাংকের ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক, দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও তিন গ্রাহককে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বগুড়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহীদুল্লাহ। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দণ্ডিতরা হলেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর রহমান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইশরাত জাহান ও মাহাতাব হোসেন। এর মধ্যে ব্যবস্থাপক জোবায়েনুরকে তিনটি ধারায় ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর করে এবং তিন গ্রাহককে সাত বছর করে সাজা দেওয়া হয়। দণ্ডিত গ্রাহকরা হলেন আজমল হোসেন, জাহিদুর রহমান ও মোশাররফ হোসেন।

আবুল কালাম আজাদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, জোবায়েনুর রহমান বিভিন্ন সময় পে-অর্ডার থেকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যবসায়ী আজমল হোসেন।

২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে রূপালী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ব্যবস্থাপক জোবায়েনুর রহমান চা পানের কথা বলে ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন। পরে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পর ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের হিসাবের খোঁজ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। পরে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ২ কোটি ৬৯ লাখ ১ হাজার ৮০১ টাকা জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করার সত্যতা পাওয়ায় রূপালী ব্যাংকের বগুড়া অঞ্চলের ডিজিএম সরদার মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।