১৫ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় জয় দিয়ে ইউরো শুরু করলো স্বাগতিকরা

খেলা ডেস্ক :
পর্দা উঠলো ইউরো ২০২৪-এর। শুক্রবার (১৪জুন) রাত ১টায় শুরু হয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ৩০ দিনব্যাপী চলবে এই টুর্নামেন্ট।

উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হয়েছিল স্কটল্যান্ড। স্বাগতিকদের চাপ সবসময় একটু বেশি থাকে।

সব চাপ সত্ত্বেও বড় ব্যবধানেই স্কটল্যান্ডকে হারালো জার্মানি। ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে শুরুটা ভালোই করলো জার্মানি।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল এই দল। আর এই আক্রমণের কারণে স্কটল্যান্ড এর রক্ষণ ভাগকে সবসময়ই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। আরক্ষণ সামলে ফলে প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য কোন আক্রমণই করতে পারেনি স্কটল্যান্ড।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় জার্মানি। ইউসুয়া কেমিকের ক্রস থেকে ফ্লোরিয়ান ভাইর্টজ একটি শক্তিশালী শটে গোল করে। এটি হলো এবারের ইউরোর প্রথম গোল।

প্রথম গোলের নয় মিনিট পরেই জামাল-মুসিয়ালা গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দেন। হাভার্টজের যোগান দেওয়া বল থেকে জামাল মুসিয়ালা একটু সময় ক্ষেপণ করেননি।

এরপর ২৬ মিনিট। ডি বক্সের ভেতর জামাল ফাউলে শিকার হন। জার্মানির পেনাল্টির আশা করেছিল, কিন্তু রেফারি পেনাল্টি বাঁশি বাজান। তবে ভিএআরে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত হয় ফ্রি কিকের। খুব কাছাকাছি হলেও শেষ পর্যন্ত ফ্রি টিকে গোলটি হয়নি।

স্কটল্যান্ড এর ডি বক্সের ভেতর জার্মানির খেলোয়াড়রা আধিপত্য বিস্তার করেই চলেছে। স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়রা রক্ষণ সামলাতে বারবার ফাউল করছে। ৪৪ মিনিটের মাথায় আবারো রাইয়ান পার্তুস ফাউল করে বসেন জার্মান অধিনায়ক গুন্দোয়ানকে। এ পর্যায়ে পেনাল্টির সঙ্গে রায়ান পার্তুসকে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।

কাই হাভার্টজ পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় জার্মান দল।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের ব্যবধান আরো বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ইউলিয়ান নাগেলসমানের শিষ্যরা। এদিকে ১০ জনের দল নিয়েও বিরতির পর প্রতিরোধ গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু করে কটল্যান্ডের খেলোয়াড়রা।

৪৮ মিনিটের মাথায় জার্মানির নিকোলাস ফুলগ্রুগ গোল করে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দেয়। ৪-০ গোল এগিয়ে থেকে আরও গতি পায় জার্মান দল। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে স্কটল্যান্ড ব্যবধান কমায়। এটি ছিল জার্মানির অ্যান্তোনীয় রুডিগার আত্মঘাতী গোল। ফ্রি কিক থেকে মেঘ কেনার হেড বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেই জালে বল জড়িয়ে দেন।

এরপর তিন মিনিটের ইনজুরি টাইম এক শেষ মুহূর্তে পঞ্চম গোল করেন এমেরি কান। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের এমন দাপুটে জয় প্রত্যাশা করেছিল জার্মানরা।