পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতীয় পাঁচ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, ধ্বংস করা হয় ব্রিগেড সদর ও একাধিক চৌকি
সমাজকাল ডেস্ক :
(ভারতের হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত, ৪৬ জন আহত; যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, উভয় দেশকে সংঘর্ষ পরিহারের আহ্বান)
ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা সামরিক হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের পাল্টা অভিযানে ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি নির্মিত ‘রাফাল’, একটি SU-30MKI এবং একটি MIG-29। পাশাপাশি, ধ্বংস করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দফতর ও একাধিক সীমান্ত চৌকি।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
ভারতীয় বিমান বাহিনী মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের ছয়টি স্থানে স্ট্যান্ড-অফ মিসাইল হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ২৬ জন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং ৪৬ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন দেশটির আইএসপিআর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
হামলার শিকার স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাঘ ও মুজাফফরাবাদ। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদসহ আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এবং ধ্বংস করে একটি ড্রোন। এছাড়া, লাইন অব কন্ট্রোলে বা নিয়ন্ত্রণ রেখায় ধুন্ডিয়াল সেক্টরে একটি ভারতীয় পোস্ট ধ্বংস করা হয়। পাল্টা হামলায় একটি ব্রিগেড সদর এবং একাধিক সামরিক চৌকি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
সামরিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথাযথ জবাব দিয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবেলায় আমরা শক্তি ও নিখুঁত কৌশলে অভিযান পরিচালনা করেছি।”
ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার ভারতীয় হামলাকে ‘উস্কানিমূলক ও কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, পাকিস্তান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ভারতের আগ্রাসনের বিষয়টি অবহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারতের ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং উভয় পক্ষকে সংযত থাকতে এবং যোগাযোগ চালিয়ে যেতে আহ্বান জানান।
পটভূমি ও উত্তেজনার সূত্রপাত
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে এক পর্যটকবাহী বাসে হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে। এরই জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে। পাকিস্তান এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দেয়।
পাকিস্তানের অবস্থান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মৌলিক নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন।
“পাকিস্তান জাতি, সরকার ও সেনাবাহিনী এ ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা প্রয়োজনে আরও কঠিন পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না,”— বলা হয়েছে বিবৃতিতে।