অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
সময়ের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
সমাজকাল প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বর্তমান সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব নেয়নি। তার কথায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই হবে এবং নির্ধারিত সময়ের বাইরে একদিনও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
শুক্রবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা বলেন, “কাল (বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আমাদের দায়িত্ব তিনটি—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। শুধু নির্বাচন নয়, আমরা বাকি দায়িত্বগুলোও পালনের চেষ্টা করছি। কিন্তু বিভিন্ন পক্ষের দাবিদাওয়া ও প্রতিবন্ধকতার কারণে কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।”
তিনি আরও বলেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা পক্ষ রাস্তা অবরোধসহ প্রতিবাদে নেমেছে। ফলে পরিস্থিতি একেবারে অচল হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় সবার সহযোগিতা না পেলে আমাদের দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে যাবে।”
নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, “প্রধান উপদেষ্টা আগেই সময়সীমা ঘোষণা করেছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এই সময়সীমা নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই। প্রয়োজন হলে ওনার কাছ থেকেই বিস্তারিত শোনা যেতে পারে।”
দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়েও কথা বলেন রিজওয়ানা হাসান। তার ভাষায়, “যদি আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে দায়িত্বে থাকা যুক্তিযুক্ত। না পারলে প্রত্যেকে আমাদের নিজ নিজ কাজে ফিরে যেতে পারি।”
📌 মূল পয়েন্টসমূহ:
- নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।
- উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের তিনটি দায়িত্ব নিয়েছে।
- আন্দোলন-অবরোধে সরকার বিঘ্নিত, সহযোগিতা ছাড়া দায়িত্ব পালন কঠিন।
- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে উপদেষ্টারা দায়িত্ব ছাড়তেও প্রস্তুত।