সমাজকাল প্রতিবেদক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
জাতীয় সংগীতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ছাত্র ফেডারেশনসহ বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রেক্ষাপট:
গত ১০ মে শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়া হয়। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচি:
আজকের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের শহীদরা, লও লও সালাম’, ‘আমার সোনার বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন নানা স্লোগান দিতে দিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। এরপর তাঁরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক সাকিব বিশ্বাস সামাজিক মাধ্যমে কর্মসূচির আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “জাতীয় পতাকা, সংগীত কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো দলের একক সম্পত্তি নয়। এগুলো জাতির অর্জন।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় প্রতীককে অবমাননা করা মানেই ইতিহাস ও অস্তিত্বে আঘাত।”
সংগঠনগুলোর অবস্থান:
ছাত্রদলের পাশাপাশি বাম সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরাও একযোগে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জাতীয় সংগীতের অবমাননার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান জানান। তাদের দাবি, জাতীয় প্রতীকগুলোর পবিত্রতা রক্ষায় সকলে সচেতন ও সোচ্চার থাকবে।
সংক্ষিপ্ত মন্তব্য:
ঢাবির এক সাধারণ শিক্ষার্থী সমাজকালকে বলেন, “জাতীয় সংগীত গাওয়া কোনো অপরাধ হতে পারে না। বরং তাতে বাধা দেওয়াটাই অপরাধ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা এসেছি।”
প্রতিবাদ, সম্মিলন ও চেতনার মিলনমেলা হয়ে উঠেছিল আজকের সন্ধ্যা। জাতীয় সংগীত ছিল প্রতিবাদের ভাষা, ঐক্যের প্রতীক।