জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিলের রায় কাল রোববার ১ জুন ঘোষণা করবে আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে করা এ আপিলে রায় রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বৈধ কি না—এই প্রশ্নে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা হবে আগামী রোববার, ১ জুন। বিষয়টি সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
🔹 আপিল বিভাগের কার্যতালিকার এক নম্বরে মামলাটি
রোববার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় মামলাটি এক নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ১৪ মে শেষ হওয়া শুনানিতে রায়ের দিন ধার্য হয়।
🔹 কে কী বললেন আদালতে
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
পেছনের প্রেক্ষাপট: নিবন্ধন বাতিলের ইতিহাস
২০০৮: জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশন সাময়িক নিবন্ধন দেয়।
২০০৯: ২৫ জন নাগরিক হাইকোর্টে রিট করেন; দাবি ওঠে, দলটির গঠনতন্ত্র সংবিধানবিরোধী।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট: হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ:
নিবন্ধনের সময় দলটির গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম সংবিধানের ৭, ১০, ৩৮ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ছিল বলে বিচারকরা রায়ে উল্লেখ করেন।
আপিলের জটিলতা ও পুনরুজ্জীবন
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর: আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল ডিফল্টের কারণে খারিজ করে দেয়।
২০২৪ সালের আগস্টে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন সরকার। এরপরই জামায়াত মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে।
৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় পূর্ণাঙ্গ শুনানি, শেষ হয় ১৪ মে
হাইকোর্টের অবৈধ ঘোষণার পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আবারও সামনে এসেছে এই রায়। রাজনৈতিক ও আইনি বিশ্লেষকদের মতে, রোববারের রায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করবে।
মূল বিষয়সংক্ষেপ:
- ২০০৮ সালে সাময়িক নিবন্ধন পায় জামায়াত
- ২০১৩ সালে হাইকোর্ট তা বাতিল করে
- ২০২৩ সালে আপিল খারিজ হলেও ২০২৪-এ তা পুনরুজ্জীবিত হয়
রায় হচ্ছে ১ জুন, আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে