কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৪৯, ভারতীয় ৪০ জন
সমাজকাল ডেস্ক:
কুয়েতে দক্ষিণাঞ্চলের এক জেলায় প্রবাসী শ্রমিকদের একটি আবসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয়।
গত বুধবার ভোরে দেশটির আহমাদি গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় ওই ভবনে আগুন লাগে। ওই সময় ভবনটিতে থাকা অধিকাংশ শ্রমিকই ঘুমিয়ে ছিলেন। জনবহুল এই জেলাটি বিদেশী গৃহশ্রমিকদের এলাকা হিসেবে পরিচিতি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউনার বরাতে আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘুমের মধ্যেই অনেকে আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। হতাহতদের বেশিরভাগই ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে ফিলিপিনো ও নেপালি শ্রমিকও রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর পর স্থানীয় পুলিশের এক জেষ্ঠ্য কমান্ডার কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়া মানগাফের ওই ভবনটি মূলত স্থানীয় গৃহকর্মীদের আবাস্থল, যেখানে তারা গাদাগাদি করে বাস করে।
ভবনটিতে আগুন লাগার পর দুর্ভাগ্যবশত আগুনের ধোঁয়ায় মধ্যে আটকা পড়ে অনেকেই মারা গেছেন। তবে এর মধ্য থেকে কয়েক ডজন বাসিন্দাকে জীবিত উদ্ধারও করা হয়েছে।’
ওই গৃহকর্মীদের কাজের ধরণ বা কোথা থেকে তারা এসেছেন, তা না জানিয়ে পুলিশ ওেই কমান্ডার আরো বলেন, একই ভবনের মধ্যে শ্রমিকদের গাদাগাদি করে থাকার বিষয়ে ‘আমরা সব সময় হুশিয়ার ও সতর্ক’ করে থাকি।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর এলাকটি পরিদর্শনে যান কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল- ইউসুফ আল- সাবাহ। এসময় তিনি ভবনটির মালিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রচ্যের অন্যতম তৃলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েত। এর মোট জনসংখ্যার ২ কোটি ২০ লাখ। আয়তনে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির সমান। এর আগে ২০২২ সালে দেশটির একটি তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪জনের প্রাণহানি ঘটে।