১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Younus

এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি : প্রধান উপদেষ্টা

এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি: প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে দ্বিতীয় দফা রাজনৈতিক সংলাপ শুরু হয়েছে। আলোচনার সূচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।’ আগামী জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চান তিনি। জুলাই মাসে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরির আশা; সংবিধান ও নির্বাচনী সংস্কার প্রশ্নে এখনো কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোচনার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অনেকগুলো বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই কাছাকাছি চলে এসেছি। আরেকটু এগোলেই জাতীয় ঐকমত্যের তালিকায় আরও একটি সুপারিশ যুক্ত হবে। এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।”

প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ উল্লেখযোগ্য দলগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রথম পর্যায়ে দলগুলো যেভাবে আন্তরিকভাবে আলোচনা করেছে এবং প্রস্তাবনাগুলো পর্যালোচনা করেছে, তা ইতিবাচক ফল দিয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথম পর্বের যেসব প্রস্তাবে দূরত্ব ছিল, সেগুলো দূর করে আমরা জুলাই মাসে একটি চমৎকার জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে পারি।”

সভায় আরও জানানো হয়, দ্বিতীয় দফা আলোচনার পরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক বৈঠক হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে একদিন এবং ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে এসব আলোচনার সময় নির্ধারিত হবে। বিশেষ গুরুত্ব পাবে সংবিধান সংস্কার কমিশনের অমীমাংসিত মৌলিক প্রস্তাবগুলো।

২০২৪ সালের অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে। ফেব্রুয়ারিতে এগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

প্রথম দফায় ৩৩টি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ১৬৬টি প্রস্তাব ছক আকারে দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। কিছু প্রস্তাবে ঐকমত্য হলেও, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, তত্ত্বাবধায়ক প্রধান নিয়োগ ও মেয়াদ, একই ব্যক্তি কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, এনসিসি গঠন, সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয় এখনো অমীমাংসিত।

কমিশন জানিয়েছে, এসব বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দল আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে, যা ভবিষ্যতের সনদ তৈরিতে আশাব্যঞ্জক।

সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn