১৫ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Nusrat Faria

আদালতে কেন কাঁদলেন ফারিয়া

সমাজকাল প্রতিবেদক :

চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন না পেয়ে এজলাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভাটারা থানায় দায়ের করা আলোচিত এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সকালে সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ তাকে হাজতখানায় নিয়ে আসে। পরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া পরিয়ে সকাল ১০টায় ঢাকার সিএমএম আদালতের ২৭ নম্বর এজলাসে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের বিচারক সারাহ ফারজানা হকের এজলাসে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে নুসরাত ফারিয়াকে কাঠগড়ার সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় আদালতের ভেতরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। চোখে জল, মুখ লাল হয়ে যাওয়ার দৃশ্য আদালতপ্রাঙ্গণে উপস্থিত অনেককেই আবেগাপ্লুত করে তোলে।

আদালত আগামী ২২ মে তার জামিন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইটে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন পুলিশ নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

মামলার পটভূমি:
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী “জুলাই আন্দোলন” চলাকালে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগে বলা হয়, আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার পায়ে লাগে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা শেষে, ২০২৫ সালের ৩ মে এনামুল হক নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং নুসরাত ফারিয়াকে সহ মোট ২৮৩ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তিনি ২০৭ নম্বর আসামি হিসেবে তালিকাভুক্ত।

মন্তব্য নেইনি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
X
LinkedIn