(কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর এবার নিবন্ধনও স্থগিত হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটি প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ছে।)
সমাজকাল প্রতিবেদক :
সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১২ মে) রাতে কমিশনের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো নিবন্ধিত প্রধান দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ল।
ইসি’র সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, নিবন্ধন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।”
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত গেজেট পাওয়ার পর নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “আমরা আইনগত দিক বিবেচনায় নিয়ে অস্থায়ীভাবে নিবন্ধন স্থগিত করেছি। আইন অনুযায়ী দলটির প্রতিনিধিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ আপাতত থাকছে না।”
এর আগে একই দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় সংগঠিত সহিংসতার দায় দলটির ওপর বর্তায়।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে দলের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল। আমরা আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে সামনের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে যে উত্তেজনা রয়েছে, তার রূপ পাল্টে যেতে পারে।