অপারেশন সিন্দুরে নিহত ১০ জন, মাসুদ আজহার পরিবারের বড় ধাক্কা
সমাজকাল ডেস্ক:
পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর প্রতিক্রিয়ায় ধ্বংস হয়ে গেছে বহু সন্ত্রাসী ঘাঁটি। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার-এর পরিবারের ১০ সদস্য। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তার ভাইপো, ভগ্নিপতি এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা।
৫৬ বছর বয়সী মাসুদ আজহার, যিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ঘোষিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী, বহু ভয়াবহ হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। ২০০১ সালে সংসদ হামলা থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা বিস্ফোরণ—সবকিছুর পেছনে তার নাম জড়িয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে ভারত তাকে ও তার সংগঠনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
ভারতের সেনাবাহিনীর এই অভিযানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, মুরিদকে, কোটলি ও মুজাফফরাবাদ এলাকায় অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুলিকে লক্ষ্য করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেট করা হয়েছিল সেইসব ঘাঁটি, যেখানে মাসুদ আজহারের পরিবার এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতারা আশ্রয় নিয়েছিল।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ হামলার আশঙ্কা নির্মূল করা। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, “আমরা জানি কাকে টার্গেট করেছি। তারা আমাদের নিরীহ নাগরিকদের রক্ত ঝরিয়েছে—এবার তার মূল্য দিতেই হবে।”
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান সরকার এই হামলাকে “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা সামরিক জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মাসুদ আজহারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জইশ-ই-মোহাম্মদ-এর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, “তিনি শোকাহত নন। তিনি বলছেন এটা যুদ্ধ, এই মূল্য তো দিতে হবেই।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছে। চীন যদিও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ‘অলওয়েদার ফ্রেন্ড’, এবার পরিস্থিতিতে চুপ থেকেছে—এটাই দিল্লির কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা
মাসুদ আজহারের মতো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন প্রত্যক্ষ ও সফল অভিযান ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা দক্ষতারই প্রমাণ। তবে এই ঘটনার জেরে উপমহাদেশে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে।