‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে রাজনৈক উত্তাপ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ। ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের অভিযোগে সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সামরিক অভিযানকে ঘিরে মোদি-মমতা দ্বৈরথের বিশ্লেষণ।
সমাজকাল ডেস্ক :
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন উত্তেজনা। “অপারেশন সিঁদুর”–এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, এই অভিযান এখনও শেষ হয়নি। মোদির এই ঘোষণাকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, তেমনি উঠেছে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার ঝড়।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের এক সমাবেশে মোদি বলেন, “আমরা তোমাদের বাড়িতে ঢুকে তিনবার আঘাত করেছি।” এসময় তিনি ২০১৬ সালের উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলা এবং চলতি বছরের ৭ই মে’র “অপারেশন সিঁদুর”–এর কথা তুলে ধরেন। মোদি এ অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এখন সিঁদুরের পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নতুন সংকল্প ঘোষণা করছি। আমাদের বোনদের সিঁদুর মুছে ফেলার সাহস করেছিল যারা, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বাহিনী তাদের শক্তি দেখিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, অপারেশন সিঁদুর হচ্ছে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সমর্থনে পরিচালিত একটি জাতীয় অভিযান।
⚠ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ
মোদি সরকারের এই সামরিক অভিযানের নামকরণ ও প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, সামরিক অভিযানকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘রাজনৈতিক হোলি’ খেলছেন।
মমতা বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নামকরণ করে বিজেপি ধর্মীয় আবেগে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। দেশের জন্য চিৎকার করা বিরোধীদের উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী প্রচারণায় ব্যস্ত।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি নিজে তো কোনো নারীর স্বামী নন, তাহলে কেন আপনি সিঁদুর নিয়ে রাজনীতি করছেন? রাষ্ট্রীয় প্রচারে সিঁদুরের প্রতীকী ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।”
🧭 বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া
ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ কেবল সামরিক নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে—যা মোদির নির্বাচনী প্রচারণার অংশ। এই প্রতীকবাদের মাধ্যমে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আবেগ জাগ্রত করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।